NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তিন সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার " ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত
Logo
logo

চীন মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের উন্নয়ন সহায়তা করা


তুহিনা: প্রকাশিত:  ১৬ জুন, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম

চীন মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের উন্নয়ন সহায়তা করা

 


ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বর্তমানে চীনে চারদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন। তিনি হলেন চলতি বছর চীন সফরে আসা প্রথম আরব শীর্ষনেতা। গত বুধবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা চীন-ফিলিস্তিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন। এসময় সি চিন পিং ‘তিনটি প্রস্তাব’ উত্থাপন করেছেন। এসব প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায্য লড়াইয়ে চীনের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে। তাই মিশরের ‘রিপাবলিক’ ও কাতারের ‘আল জাজিরা’সহ মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো এসব প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়। 

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত চায় চুয়ান ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করেন। আর এপ্রিল মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি ও ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। আসলে ফিলিস্তিন -ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য চীন সব সময় চেষ্টা করেছে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্টের তিনটি প্রস্তাব ২০১৩ ও ২০১৭ সালে চীনের উত্থাপিত ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বর্তমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়াকে বেগবান করার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। চীনের ধারণায় ফিলিস্তিনি সমস্যার মৌলিক সমাধান হল ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা। আর এটাই  হচ্ছে ‘দুই রাষ্ট্র নীতি’ এবং আরব শান্তি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

চীন মনে করছে, ফিলিস্তিনের অর্থনীতি ও জনগণের চাহিদা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের উন্নয়ন সহায়তা ও মানবিক সহায়তা বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ‘ডিপ্লোম্যাট’ চীনকে ‘সত্যিকারের নিরপেক্ষ’ বলে মত দিয়েছে।

একটি আরবি প্রবাদ বলে যে ‘বাস্তবতা সব সময় পরিবর্তন হয়’। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মতভেদ দূর করার প্রচেষ্টাকে বেগবান করতে চায় চীন। তা দু’দেশের উত্তেজনাকর ‘বাস্তবতা’ পরিবর্তন করার একটি প্রচেষ্টা। 

চীন আশা করে, দু’দেশ চীনের উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব ভালোভাবে বিবেচনা করবে, রাজনৈতিক সাহস নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা পুনরায় শুরু করবে, এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে। কারণ সঠিক কাজ শুরু করতে কখনও দেরি করা উচিত নয়। 
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।