NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

পহেলা আষাঢ়  - জাকিয়া রহমান


খবর   প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ০৯:২৩ এএম

পহেলা আষাঢ়   - জাকিয়া রহমান

 

পহেলা আষাঢ় 

- জাকিয়া রহমান 

 

আমার বাংলাদেশে,   

আজ পহেলা আষাঢ়! বিষ্টি ঝরে,

কি আনন্দ বাংলার মিষ্টি অধরে! 

শীতল হবে দাহ, দূর হবে যাতনা,   

হাসবে কদম, পদ্ম পত্রে জলকনা।    

 

এক প্রবাসীর কথা,    

বৃষ্টি হেথা ঝরে প্রায় সারা বছর 

পৃথিবীর এই প্রান্ত দেশে।  

সেই সাথে হিমেল শীত আসে, 

পাতা ঝরা দিনের শেষে।  

তারপর বসন্তে রঙের বাহার, 

রং-মেলা যেন বসে তখন।  

চোখ ভরে দেখি নার্গিস আর 

রঙিন ফুল পশরা অনুক্ষন।  



 

আক্ষেপ, 

তবুও হিমেল হাওয়া যায়না ছেড়ে!

ঝড়ো বাতাস কি তুষার আসে তেড়ে!  

যাপটে ধরে থাকে উলের সোয়েটার।

হাপিত্যেশ করি একটু গরমের, বারংবার।  



 

বাংলার কথা, 

মনে করি ফেলে আসা দেশের

গরমের কথা, শুনি কত খবর- 

সেথা পুড়ে বুঝি হবে ছারখার 

জ্বালাতন গরমের দূষকর।  

 

যদি এমন হতো সে তাপের,   

কিছু ভাগ ভাগ্যে আমাদের!   

বেঁটে নিতাম একটু মিষ্টি শীত, 

বাংলার বাতাসে চলতো গীত।   



 

হেথা গ্রীষ্মকাল,  

নিয়ে আসে বড় মধুর তাপ,  

সে কারণে জ্বলিনা বাংলার মত।   

চারিদিক সবুজে সবুজে ঢাকা, 

তার মাঝে রঙের মেলা কত।  

আমরা এই মধুর গ্রীষ্ম তাপে

হই সতেজ, ভুগি না আরথেরাইটিসে

আনন্দ কোলাহলে মাতে সব সূর্য স্নানে,     

কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে ধরে আলস্যে।  

তখন বৃষ্টিকে ডাকি, আয় ও বিষ্টি! 

তোর প্যানপ্যানানি বড় যে মিষ্টি! 



 

এখানে পহেলা আষাঢ়! 

আশ্চর্য কাল সারারাত ধরে বৃষ্টি,

তখন কি মধুর এক অনুভূতি!  

হাহাকার নেমেছিল সবুজ লনে-

যেন তৃষ্ণায় ফাটে ঘাসের ছাতি।  

সকালে উঠে দেখি সবুজ সজীব-

রাত ভর জল পিঁয়ে মেঘ ছায়াতে। 

চারদিকে ফুল উথলায় হাসিতে,

সজীব পাতা বিষণ্ণ নয় ধুলিতে।   

হঠাৎ মনে হল আজ পহেলা আষাঢ়! 

কি আশ্চর্য সেই সময় এলো বৃষ্টি!

ঝর ঝর বরিষনে সুরের খেলা,    

মনে পড়ে বাংলার কদমের গন্ধ কি মিষ্টি!  

 

হেথা কোথায় পাব সে সুগন্ধ?  

বাগানে দেখি ফুটেছে ফিলাডেলফাস 

আর ফুটেছে মরি মরি কত জাসমিন! 

সুগন্ধে অনিন্দ্যা আমার বাগানেই বাস। 

আমার বাংলা মায়ের আঁচলের নকশায়, 

কদম ফুলের কি অপূর্ব রেশ সুগন্ধের,  

মন ভোলেনি এ সুদূরেও থেকেও কতদিন-  

যেন ভাসে কুঞ্জ ভানে আমার মানসের।