NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প বিলুপ্তীর পথে


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প বিলুপ্তীর পথে

এম আব্দুর রাজ্জাক, আদমদিঘী, বগুড়া থেকে : বগুড়ার আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তীর পথে। গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র। অভাবের তারনায় ওরা দীর্ঘদিনের বাপ দাদার পেশা ছেড়ে আজ অনেকেই অন্য পেশায় ছুটছে। কিছু হাতে গোনা কয়েক জন বাঁশ শিল্প কারীগররা অভাব অনটনের মাঝে আজও বাপ দাদার পেশা ধরে আছে তবে কতোদিন থাকতে পারবে তা কেই জানেনা। পুরুষদের পাশাপাশি সংসারের কাজশেষ করে নারী কারিগররাও জীবিকা নির্বাহের জন্য ছেলে মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে অতি কষ্টে কাজ করছেন।

 

বর্তমান বাজারে পাষ্টিক পূণ্য ও আন্যান্য দ্রব্য মুলের সাথে পাল্লা দিতে না পারায় তাদের বাপ দাদার পেশায় মুখ থুবরে পড়েছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসববাঁশ শিল্প তার সাথে আদমদীঘি উপজেলা সান্দিড়া,ছাতিয়ানগ্রাম,নইকুল,বশিকোড়া,জিনইর,তেতুলিয়া,বন্তইর,বরিয়াবার্তা সহ ১৫ টি গ্রামে ৫০টি পরিবারের নারী ও পুরুষ বাঁশ শিল্প কারিগরদের ভাগ্যে নেমে এসছে চরম দূর্দিন। তাদের পূর্ব পুরুষের এ পেশা আকড়ে ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে ও হিমছিম খাচ্ছে। উপজেলা সহ দেশের ঘরে ঘরে ছিল বাঁশের তৈরী সামগ্রীর কদর। কালের পরিবর্তের সাথে সাথে বিশেষ আর চোখে পড়েনা। অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাঁশ শিল্প আজ হুমকির মুখে।

এসব বাঁশের তৈরী সামগ্রী বাচ্চাদের দোলনা, তালায়, র‌্যাখ, পাখা, ঝাড়–, টোপা, ডালি,চালন,কুলা,টোপা,গুরু-মহিষের গমাই সহ বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র গ্রামঞ্চলে বিস্তার ছিল। যে বাঁশ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যেত সেই বাঁশ বর্তমান বাজারে কিনতে হচ্ছে আড়াইশ থেকে তিন শত টাকায়। সেই পরিমান বাড়েনি এসব পূণ্যের দাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ ঘর বাড়ী নির্মানে যে পরিমান বাঁশের প্রয়োজন সে পরিমান বাঁশের ঝাড় বৃদ্ধি হচ্ছে না।

 

গত মঙ্গলবার আদমদীঘি উপজেলা সদরের হাটে বাঁশ শিল্প বিক্রেতা দুলাল বসাক, গোপাল চন্দ্র, আব্দুল মজিদ, নায়েব আলী, বাবু মিয়া ও আব্দুল জলিল এর সাথে কথা হলে তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অতি কষ্টে বাঁশ শিল্প টিকে রাখতে ধার দেনা ও বিভিন্ন সমিতি থেকে বেশি লাভ দিয়ে টাকা নিয়ে কোন রকম বাপ দাদার পেশা আকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সরকারী ভাবে অল্প লাভে যদি ঋণ দেওয়া হয় তাহলে বাঁশ শিল্পের কারীগররা স্বাবলম্বী হবে।