এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম
এম আব্দুর রাজ্জাক নিমাইদিঘী, বগুড়া থেকে : বগুড়ার আদমদীঘিতে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান কাটা। কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে এবার ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করে ৪৮ হাজার ৫৩ মে. টন চাউল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শস্যভান্ডার বলে খ্যাত এ উপজেলায় এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন।
এ বছর ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে জিরাশাইল, কাটারী ভোগ, ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান২৯, ব্রি ধান৮১, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, বিনা ধান-১৪, এসএল ৮এইচ, হীরা, দুর্বার, তেজ, ব্রি হাইব্রিড-৫ ইত্যাদি জাতের বোরো ধান চাষ করা হয়। চলতি মৌসুমে বোরো ধান গাছে তেমন কোন রোগবালাই দেখা দেয়নি। ধানের শীষ ভাল রাখতে কৃষকরা সার্বক্ষণিক পরিচর্যা ও রোগবালাই দমনে তীব্র রোদের মধ্যেও জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। পাকা বোরো ধান ঘওর তুলতে এক মূহুর্তের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত নেই কৃষকদের। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে পাকা বোরো ধানের গাছ পাতা শীষ আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
আদমদিঘী উপজেলার ১ নং ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের নিমাইদিঘী গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক তার নিজের জমিতে জিরাশাইল জাতের ধান কাটা শুরু করেছেন।আদমদীঘির উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মিঠু চন্দ্র অধিকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ধানের ক্ষতি এড়াতে ধানের ৮০% পাকামাত্রই কৃষি যন্ত্রপাতি/কম্বাইন হার্ভেস্টার/রিপার ব্যবহার করে দ্রুত ধান কর্তন নিশ্চিতকরণে ১৯টি ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।