NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

‘একজন মানুষও পাইনি যে আমাকে বলেছে, কাজটা ঠিক করিনি’-- সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ জুন, ২০২৫, ০২:২২ পিএম

‘একজন মানুষও পাইনি যে আমাকে বলেছে, কাজটা ঠিক করিনি’-- সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস

সবদিক মিলিয়ে আমার একটা নিউজের পর যে ঘটনাগুলো ঘটেছে প্রথমদিকে আমি ডি-মোটিভেটেড ছিলাম।  কারণ এটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না, এ ধরনের সিচুয়েশন হতে পারে নিউজের কারণে। আমি জানি আসলে নিউজটা কী ছিল। পরে হয়তো কোনো একটা কারণে কিছুটা দ্বিধা দন্দে পড়ে যায় মানুষ।  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সদ্য জামিনে মুক্ত প্রথম আলো’র সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস মানবজমিনকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সিআইডি আমাকে যখন নিয়ে যায় তখন আমি কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু পরে তাদের আচার-আচরণ, বিহেভিয়ার, তারা আমার সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছেন সেটি দেখে জিজ্ঞাসাবাদ যেরকম হয় সেটি মনে হয়নি। মনে হয়েছে আমি এসেছি, তাদের সঙ্গে জাস্ট একটা আলাপচারিতা হচ্ছে।  তাদের খুবই ওয়েল বিহেভ ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা আমাকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। যদিও তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল না। 

 তবে তারা আমাকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে গিয়েছিল, তাই মনে হয়েছে তারা পুলিশের হতে পারে। ধানমন্ডি থানায় আমাকে রাখা হয়। পরেরদিন আদালতে হাজির করা হয়। ওখান থেকে কেরানীগঞ্জ। সেখান থেকে আবার গাজীপুরের কারাগারে নেয়া হয়। সব মিলিয়ে সবকিছু আমার কাছে একটা জার্নির মত ছিল। কিন্তু আমি সিআইডি অফিস থেকে শুরু করে জেলখানা যে কয়টি জায়গায় গিয়েছি সবজায়গায় সবারই খুব পজেটিভ অ্যাপ্রোচ পেয়েছি। সবাই আমার সঙ্গে ওয়েল বিহেভ এবং পজেটিভভাবে কথা বলেছেন।  ওভারঅল আসলে ওভাবে আমার জানার সুযোগ ছিল না, তবে জেলখানার সবাই আমার চেহারা দেখে বলে- ভাই আপনি অমুক না? একজন মানুষও পাইনি যে আমাকে বলেছে, কাজটা ঠিক করিনি। সবাই আমাকে বলেছে, ভাই আপনি সত্য কথা লিখছেন।  আপনিতো ভালো কথা লিখছেন। আমরাতো বলতে পারি না।      শামস বলেন, পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানলাম, দেশের সকল সাংবাদিক সমাজ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।  আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সহকর্মীরা ছিল। বিশেষ করে প্রথম আলো, আমার পরিবার। আমি যে জায়গায়ই গেছি প্রথমে দেখেছি, প্রথম আলো থেকে আগেই কথা বলেছে। আমাকে কিভাবে আসলে ভালো রাখা যায়। তিনি বলেন, আমি দেশবাসী, সাংবাদিকসহ যারাই আমার পাশে ছিলেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।