NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

চীন বরাবরই একটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে চীন-ইরান সম্পর্ককে দেখে


ছাই উইয়ে মুক্তা,বেইজিং প্রকাশিত:  ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:২৩ এএম

চীন বরাবরই একটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে চীন-ইরান সম্পর্ককে দেখে

 

 

 

চীন সফররত ইরানি প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৪ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, দু’দেশ একে অপরের ঐতিহ্যগত বন্ধু। বর্তমান বিশ্ব জটিল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দু’দেশ সহযোগিতা চালিয়ে আসছে। দু’দেশের কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা অব্যাহতভাবে জোরদার হচ্ছে, বাস্তব সহযোগিতা স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে, যা অভিন্ন কল্যাণ ও আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য সহায়ক। 

তিনি বলেন, চীন বরাবরই একটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে চীন-ইরান সম্পর্ককে দেখে। চীন অব্যাহতভাবে চীন-ইরান সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। 

তিনি আরো বলেন, চীন ইরানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদাকে সম্মান করে। চীন ইরানকে একপক্ষবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও  সমর্থন করে। চীন ইরানের সঙ্গে দু’দেশের সার্বিক সহযোগিতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ইচ্ছুক। চীন ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য, শিল্প, ও অবকাঠামো ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক এবং ইরান থেকে আরো বেশি কৃষিপণ্য আমদানি করতে চায়।

জবাবে রাইসী বলেন, ইরান এবং চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব সময়ের সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হবে। দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে স্থাপিত হয়েছে। দু’দেশ হলো একে অপরের বিশ্বাসযোগ্য আন্তরিক অংশীদার। ইরান চীনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার, সার্বিক সহযোগিতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্য ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতা উন্নত করতে ইচ্ছুক। তিনি আশা করেন, আরো বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান ইরানে বিনিয়োগ করবে এবং আরো বেশি চীনা পর্যটক ইরান ভ্রমণ করবে। 

তিনি বলেন, ইরান চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, বিশ্ব উন্নয়ন প্রস্তাব ও বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাবকে সমর্থন করে এবং সক্রিয়ভাবে এতে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইরান দৃঢ়ভাবে চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডের অখন্ডতাকে সমর্থন করে। ইরান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করতেও ইচ্ছুক। 
দু’নেতা যৌথভাবে কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ত্রাণ, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: ছাই ইউয়ে মুক্তা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।