মশিউর আনন্দ প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
“সম্মানিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ,আসসালামু আলাইকুম ও শুভ অপরাহ্ন। ভাষার এই মাসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যিনি মহান ভাষা আন্দোলনে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদ, অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লক্ষ মা-বোনকে, যাঁদের সুমহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্যদের স্মৃতির প্রতি। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাদের সকলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই “সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে” স্বাগত জানাই। সাম্প্রতিক সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হতে যাওয়া প্রথম সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিং এটি। আমরা এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনাদের সুনির্দিষ্ট কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে আমরা তারও জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাৎক্ষণিকভাবে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব না হলে আমরা সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ থেকে তা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদেরকে প্রশ্নের উত্তর দেব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনারা আমাদের এই কর্মপ্রক্রিয়ার প্রধানতম অংশীদার এবং আমরা আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
প্রিয় মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ,
আপনারা জানেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে ল্যাটিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোর সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করছি আর্জেন্টিনার মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে তার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এফবিসিসিআই-এর নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, একই দিনে ফরেন অফিস কনসাল্টেশন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং এই সময়ে দুদেশের মধ্যে এক বা একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরের সময় ঢাকায় আর্জেন্টাইন দূতাবাস খোলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেছে। নয়া দিল্লীস্থ আর্জেন্টাইন দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান (ডিসিএম) বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দূতাবাস খোলার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নয়া দিল্লীস্থ আর্জেন্টাইন দূতাবাস যৌথভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ কর্তৃক আর্জেন্টিনায় মিশন খোলার বিষয়ে আমাদের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুয়েনস আয়ারস-এ মিশন খোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আগামী ০৪ থেকে ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। মালয়েশিয়ার নবগঠিত সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বাংলাদেশ সফর হিসেবে মালয়েশিয়ার মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি “ওয়ার্কিং ভিজিটে” ঢাকা সফর করবেন বলে আমরা আশা করছি। সফরকালে তাঁর বাংলাদেশের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকগুলোতে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও দ্রুততর করার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হওয়ার আশা করছি। আসন্ন এ সফর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো গতি সঞ্চারে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বেলজিয়ামের রানী Her Majesty Queen Mathilde of the Belgians জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিয়োজিত ১৭ জন অ্যাডভোকেটের একজন হিসেবে ৬-৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, একটি পোশাক কারখানা এবং স্থানীয় স্কুল এবং বন্যার সাথে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিও পরিদর্শন করতে পারেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য G20 এর শীর্ষ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অংশ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর কৌশলগত বহুপক্ষীয় সংগঠন G20 এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত G20 এর সকল সভায় বাংলাদেশকে “অতিথি রাষ্ট্র” হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। *
UN Special Rapporteur for the human rights of migrants Mr. Felipe Gonzalez Morales বিগত ২২ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফল করেছেন। সফরকালে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি সরেজমিনে কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন। গতকাল তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করে এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য দেন।
নয়াদিল্লীস্থ UNODC (United Nations Office on Drugs and Crime)-এর Regional Representative for South Asia Mr. Marco Teixeira মানব পাচার–২০২২ সংক্রান্ত ইউএনওডিসি-র বৈশ্বিক প্রতিবেদন শুরু করার লক্ষ্যে গত ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেছেন। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বহুমাত্রিক আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ (multifaceted transnational organized crimes) দমনে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এম.পি. গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট Mr. Martin Raiser-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংক-কে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে আন্তর্জাতিক সাফল্যের মডেল হিসেবে তুলে ধরবার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। সাক্ষাতকালে বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনের কথা উল্লেখ করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উদারতার প্রশংসা করেন।
মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি-এর নেতৃত্বে FBCCI, ই-কমার্স এবং বিজিএমই-এর প্রতিনিধিরা ১--৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশন, প্রিটোরিয়া কর্তৃক আয়োজিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সফরকালে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার কনস্যুলেট স্থাপন এবং উচ্চশিক্ষা, নৌ পরিবহন, বাণিজ্য সহযোগিতা, বিমান পরিষেবা এবং দ্বৈত কর এড়ানোর মতো ক্ষেত্রে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে একটি মতবিনিময় সভা হবে। এই সফরের পর তিনি ৬--১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩-এর মধ্যে বতসোয়ানা এবং এসওয়াতিনি-তে সফর করবেন।
কাতারের দোহায় আগামী ৫ থেকে ৯ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য স্বল্পোন্নত দেশগুলির পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব (LDC5)-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সভাপতিত্বে ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন-এর সভাপতিত্বে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন প্রধানদের সাথে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থানের বাজার প্রসারে দক্ষতা বৃদ্ধির উপর আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সরকারের মধ্যে একটি সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
ঢাকায় রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্স এর ৪১ তম সভায় গত ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামে অবস্থান নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না তা যাচাই-বাছাই করা হবে। ইতোমধ্যেই নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির পূর্বে অপরাধমূলক রেকর্ড থাকে তাহলে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও কমিটি রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহায়তা কামনা করা হয়।
ক্রেডেনশিয়াল পেশ: উল্লেখ্য, নয়াদিল্লী থেকে বিভিন্ন দেশের ৮৩ জন অনিবাসী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তিন দেশের মনোনীত হাইকমিশনাররা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে তাদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। চার অনিবাসী রাষ্ট্রদূত হলেন: কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট। তিনজন অনাবাসিক হাইকমিশনাররা হলেন: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ডঃ রজার গোপাঊল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ এবং কিংডম অফ ইসওয়াতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ সবসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় তাঁদের দায়িত্ব পালনকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
মেক্সিকো, কিউবা, সার্বিয়া ও ইসওয়াতিনির মান্যবর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেনের সাথে যৌথভাবে সাক্ষাত করেছেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে নতুন রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত H.E. Ms. Nathalie Chuard গত ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। তিনি মাননীয় স্পীকার, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-র সাথেও সাক্ষাৎ করেন। ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ পররাষ্ট্র সচিব মহোদয় রাষ্ট্রদূতের সৌজন্যে একটি মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর সাথে বৈঠক করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ৩৮তম বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে অনুষ্ঠিত ২৮তম বিশেষায়িত কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বর্তমানে ২৯তম বিশেষায়িত কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ১১ জন বাংলাদেশী নবীন কূটনীতিকের পাশাপাশি এবারই প্রথম ০৫ জন বিদেশী কূটনীতিক (কেনিয়া, মালদ্বীপ, ইরাক, নাইজেরিয়া এবং গাম্বিয়া) অংশগ্রহণে করছেন। এক বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণ কোর্সে তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক Professional Masters in International Relations and Diplomacy (PMIRD) প্রদান করা হবে। উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ‘সফট পাওয়ার’-এর ভূমিকা হিসেবে বিদেশী কূটনীতিকদের বাংলাদেশে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং ভবিষ্যতে আমরা আরো কূটনীতিকদের অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করছি।”