NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, জুন ১৩, ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ কোরবানীর ত্যাগের মহিমায় নিউইয়র্কে ঈদুল আজহা পালিত মুসলিম উম্মার ঐক্য, সৌহার্দ্য-সমৃদ্ধি  কামনা উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও উৎসব—ঈদ বাজারে নারীর অগ্রযাত্রার অনন্য মঞ্চ লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর গভর্নর পদে প্রথম বাংলাদেশি আসেফ বারী টুটুলের ঐতিহাসিক বিজয় ও সংবর্ধনা অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
Logo
logo

নতুন বছর আমরা অবশ্যই আরো বেশি সাফল্য লাভ করবো চীনা প্রেসিডেন্ট


ছাই উইয়ে মুক্তা,বেইজিং প্রকাশিত:  ১৩ জুন, ২০২৫, ০৬:৪২ এএম

নতুন বছর আমরা অবশ্যই আরো বেশি সাফল্য লাভ করবো চীনা প্রেসিডেন্ট

 

 

 


চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং হেইলংচিয়া, ফুচিয়ান, সিনচিয়াং, হ্যনান, বেইজিং ও সিছুয়ানের তৃণমূল পর্যায়ের ক্যাডার ও নাগরিকদের সঙ্গে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসবের সময় আমার তৃণমূল ক্যাডারের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল ছিলাম। আগে আমি বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করতাম। এ বছর ভিডিও সংযোগের পদ্ধতিতে আমি আরো বেশি অঞ্চলের কমরেডদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যদিও আমরা মুখোমুখি হইনি, তবুও আমি বিভিন্ন অঞ্চলের বসন্ত উৎসবের স্বাদ পেয়েছি, সবার সুখ ও আনন্দ আমি অনুভব করতে পেরেছি। চীনের বিভিন্ন জাতির মানুষের মন সংযুক্ত হয়েছে।

ছুসি ও বসন্ত উৎসব হলো চীনা জাতির ঐতিহ্যবাহী উৎসব ও পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনের দিন। সি চিন পিং বলেন, আমার সবচেয়ে বড় আশা হলো সবাই একসঙ্গে আনন্দময় বসন্ত উৎসব কাটাবে। বিভিন্ন পর্যায়ের চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র কমিটি ও সরকারকে উৎসবের সময় বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তাপ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করতে হবে। বিশেষ করে নতুন পর্যায়ের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। সব চীনা জনগণের আনন্দময়, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বসন্ত উৎসব কাটানো নিশ্চিত করতে হবে। 
তিনি বলেন, গেল বছর সহজ ছিল না। আমরা একসঙ্গে বিভিন্ন কঠিনতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। আমরা বিভিন্ন নতুন সাফল্য অর্জন করেছি। সবাই অবদান রেখেছেন। নতুন বছর আমরা অবশ্যই আরো বেশি সাফল্য লাভ করবো।

২০২২ সালের ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং শানসি প্রদেশের লিনফেন ও জিচং পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জনগণকে সুখী জীবন উপহার দেওয়া হলো শতাব্দীব্যাপী সিপিসি’র নিরন্তর সাধনা। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও দায়িত্ব ভুলে যাওয়া যাবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে। 

২০২১ সালের ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কুইচৌ প্রদেশের বিচিয়ে ও কুইইয়াংয়ে পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেন, চীনা জাতি একটি বড় পরিবার। চীনে ৫৬টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, ঠিক যেন ৫৬টি ফুল। সার্বিক স্বচ্ছলসমাজ ও সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন গড়ে তোলায় কোনো জাতি পিছিয়ে থাকবে না।

২০২০ সালের ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সি চিন পিং ইউন-নান প্রদেশের থেংচং ও খুনমিং পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র উন্নত করতে হবে। সচেতনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে নতুন উন্নয়নের ধারণা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সিপিসি ও চীনের ইতিহাস শিখতে হবে এবং সিপিসি’র প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও দায়িত্ব বোঝাতে হবে।

২০১৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তিনি বেইজিং শহর পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটি শহরের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতি হলো শহুরে জীবনের অংশ। পুরানো শহর রূপান্তর করার পাশাপাশি আমাদের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। জনগণের বসবাসের পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ইতিহাস ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। 

২০১৮ সালের ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সিছুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান ই জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নার, আবা তিব্বতি ও ছিয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নার ও ছেংতু শহরে পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, সমাজতন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন জাতির জনগণকে সুখী ও সুন্দর জীবন দেওয়া। চীনের অর্থনীতি দ্রুত প্রবৃদ্ধি থেকে উচ্চ মানে উন্নয়নের পর্যায়ে উঠেছে। আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলো চীনের উন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য। নাগরিকদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, সামাজিক নিশ্চয়তা ও সমাজের স্থিতিশীলতা বাড়াতে হবে। 

২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি হ্যপেই প্রদেশের চাং চিয়া খৌ শহর পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন হলো সমাজতন্ত্রের অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা ও সিপিসি’র দৃঢ় প্রচেষ্টার লক্ষ্য। গ্রামের মৌলিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা জোরদার করতে হবে। কৃষকদের নেতৃত্বে সার্বিকভাবে দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন করতে হবে। 
সূত্র: ছাই ইউয়ে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ ( সিএমজি)।