যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা ঋষি সুনাক মঙ্গলবার ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পান।
আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে একের পর শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ ঋষি সুনাক।
সোমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর পরই দেশের ভেতরে সদ্য বিদায় নেওয়া প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস থেকে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, টেরিজা মে-সহ স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা-অভিনন্দন বার্তা এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের কাছ থেকেও। সুনাককে সোমবারই শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি লিখেন, “ঋষি সুনাককে অনেক অভিনন্দন। আপনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র আরও নিবিড় হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। দুইদেশের রোডম্যাপ ২০৩০-চুক্তিকেও আরও সাফল্যমণ্ডিত করে তোলা হবে।”
সুনাকের জয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বসবাস করা ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান মোদী।
টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেখেন, ‘‘একসঙ্গে, ইউক্রেইনের প্রতি আমাদের জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখাসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আমাদের সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে তার শুভেচ্ছা বার্তায় দুই দেশের অংশীদারিত্বকে ‘বিশ্বের যেকোনো দুটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পর্কগুলোর একটি’ বলে বর্ণনা করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইটারে সুনাককে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় কাজ করে যাব, যার মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং এর জেরে ইউরোপ ও বিশ্বের জন্য নানা পরিণতিও অন্তর্ভুক্ত।”
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় লেখেন, তিনি ইউক্রেইন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে প্রস্তুত।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসণ শুরুর পর যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দৃঢ়ভাবে ইউক্রেইনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত দেশটিকে কোটি কোটি পাউন্ডের সামরিক সহায়তা দিয়েছে বা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানাননি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুনাকের অধীনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ‘আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে’ চীনের আগ্রহের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। সুনাক নিজেও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে আগ্রহী। চ্যান্সেলর থাকার সময় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিলে লিজ ট্রাস তার সমালোচনাও করেছিলেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘একসঙ্গে কাজ করাই সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একমাত্র উপায়... এবং স্থিতিশীলতা আনাই ওইসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার চাবিকাঠি।”