চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশেষ বিমানে করে ৮ই মে গত (বুধবার) রাতে মস্কোয় পৌঁছেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে তিনি রাশিয়া সফর করছেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধ বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীর স্মরণানুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
মস্কোয় সি’র বিশেষ বিমান পৌঁছার পর রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা আলেক্সেয়েভিনা গোলিকভাসহ রুশ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাঁকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে জমকালো স্বাগত অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করেন সি।
বিমানবন্দরে সি’র লিখিত ভাষণে চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে রুশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সুন্দর শুভকামনা জানানো হয়েছে।
সি বলেছেন, চীন ও রাশিয়া পরিবর্তিত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ, সত্যিকারের বন্ধু যারা দুঃখে-সুখে পাশে থাকে এবং একে অপরের সাফল্যের সহযোগী। দু’পক্ষ প্রতিবেশী বড় দেশের সঠিক সহাবস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে, নতুন যুগে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগী চেতনা গঠন করেছে। স্বাধীন ও স্বতন্ত্র, পরিপক্ক ও সহনশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেবল দু’দেশের জনগণকে বড় কল্যাণ বয়ে এনেছে তা নয়, বরং বৈশ্বিক কৌশলগত স্থিতিশীলতা সংরক্ষণ, সমান ও সুশৃঙ্খল বিশ্বের বহুমেরুকরণ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
চলতি বছর বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধ বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। চীন ও রাশিয়া বিশ্বের প্রধান বড় দেশ আর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী প্রতিনিধি দেশ হিসেবে হাতে হাত মিলিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাফল্য সংরক্ষণ করবে, যে কোনো আধিপত্যবাদ ও জোর-জবরদস্তির রাজনীতির বিরোধিতা করবে, বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়নে আরো সমান ও যুক্তিযুক্ত বৈশ্বিক প্রশাসন ব্যবস্থা গঠন করবে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাস্তব সহযোগিতা ও অভিন্ন স্বার্থ জড়িত আন্তর্জাতিক আর আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে গভীর আলোচনা করতে আশাবাদী। যাতে নতুন যুগে সার্বিক দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগী অংশীদারি সম্পর্কের উন্নয়নে শক্তিশালী প্রাণশক্তি যোগানো যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা রুশ জনগণের সাথে বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধের বিজয়ে নিজের প্রাণ উত্সর্গকারী বীরদের স্মরণ করবেন এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও সমতা সংরক্ষণের শক্তিশালী আওয়াজ তুলবেন বলে আশা করেন সি। সূত্র : সুবর্ণা-হাশিম-রুবি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।