১লা এপ্রিল দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদি মুর্মু, গত (মঙ্গলবার) অভিনন্দনবার্তা বিনিময় করেন।

অভিনন্দনবার্তায় সি চিন পিং বলেন, চীন ও ভারত প্রাচীন সভ্যতার দেশ, বড় উন্নয়নশীল দেশ, ও ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উভয় দেশ নিজ নিজ আধুনিকায়ন-প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়ন দেখায় যে, পারস্পরিক সাফল্যের অংশীদার হওয়া উভয় পক্ষের জন্যই সঠিক পছন্দ। এটি দুই দেশ ও দু’দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সাথেও সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। 


তিনি বলেন, দু’দেশের উচিত চীন-ভারত সম্পর্ককে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ও পরিচালনা করা। দু’দেশের উচিত যৌথভাবে প্রতিবেশী প্রধান দেশগুলোর শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানের উপায় অনুসন্ধান করা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক সুবিধা ও অভিন্ন উন্নয়নের সাথে যৌথভাবে বিশ্বের বহুমেরুকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করা। 


সি আরও বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীর সুযোগ ধরে, কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা জোরদার ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা ও যোগাযোগ ত্বরান্বিত করতে হবে। দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে যোগাযোগ ও সমন্বয় উন্নত করতে হবে, যাতে চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়নকে একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রচারে অবদান রাখা যায়। 


নিজের অভিনন্দনবার্তায় মুর্মু বলেন, ভারত ও চীন হলো পরস্পরের সুপ্রতিবেশী। দু’দেশে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বাস। স্থিতিশীল, প্রত্যাশিত ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উভয় দেশ ও বিশ্বের জন্যই কল্যাণকর। দু’দেশকে যৌথভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।


একই দিনে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ও অভিনন্দনবার্তা বিনিময় করেন। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং তার বার্তায় বলেন, চীন অব্যাহতভাবে ভারতের সাথে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের যোগাযোগ ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে, এবং যথাযথভাবে সীমান্তের ইস্যুগুলো মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক। 


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বার্তায় বলেন, দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন কেবল বিশ্বের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্যই সহায়ক নয়, বরং বহুমেরুর বিশ্ব অর্জনেও সহায়ক। ভারত-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী দুই দেশের সম্পর্ককে সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের এক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে।  

সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।