নতুন শীর্ষ নির্বাহী বেছে নিল সিএনএন ব্রিটেনের অভিজ্ঞ মিডিয়া কর্মকর্তা ও দেশটির অন্যতম প্রতীক হিসেবে পরিচিতি সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাবেক মহাপরিচালক মার্ক থম্পসনকে নিজেদের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বেছে নিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। বৃহস্পতিবার সিএনএনের মালিক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ৯ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং বিতর্কিত সম্পাদকীয় সিন্ধান্তের কারণে গত জুনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সিএনএনের সিইও ক্রিস লিচ। তার পদত্যাগের প্রায় দু’মাস পর নতুন শীর্ষ নির্বাহী পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির এই সংবাদমাধ্যম।
২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিবিসির মহাপরিচালকের পদে ছিলেন মার্ক থম্পসন। তারপর ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউিইয়র্ক টাইমসের শীর্ষ নির্বাহী ও এই কোম্পনির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন থম্পসন। মার্ক থম্পসন যখন নিউইয়র্ক টাইমসের দায়িত্ব নেন, সে সময় পত্রিকাটি ইন্টারনেট সাবস্ক্রাইবার সংকটে ভুগছিল। পত্রিকাটির এই সংকট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের টেলিভিশন দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ডিসকোভারির মালিকও ওয়ার্নার ব্রাদার্স। মার্ক থম্পসন সিএনএনের শীর্ষ নির্বাহী হওয়ার পর শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিসকোভারির সিইও ডেভিড জাসল্যাভ বলেন, ‘মার্কের অতীত রেকর্ড দুর্দান্ত। আমি দীর্ঘদিন ধরে তাকে জানি। তার নেতৃত্বের সবচেয়ে চমৎকার দিকটি হলো সে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এমনভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে যে, কর্মীরা তাদের উচ্চাশা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে এবং তা অর্জনও করতে সক্ষম হয়।’ ‘আমি নিশ্চিত, সিএনএনের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেমন নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল— মার্ক তেমনই একজন নেতা।’ প্রসঙ্গত, গত বছর নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ণের অভিযোগ আনেন কয়েক জন নারী। সেসময় তার পক্ষ অবলম্বন করেন তার ভাই ক্রিস কুয়োমো, যিনি সিএনএনের একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক ছিলেন। এ ঘটনায় পেশাগত নিরপেক্ষতা লঙ্ঘণের অভিযোগে ক্রিস কুয়োমোকে বহিষ্কার করে সিএনএন। ক্রিস চলে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমটির বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য সংবাদকর্মীও তাকে অনুসরণ করেন। তারপর থেকেই আর্থিক ও সার্বিকভাবে খানিকটা খারাপ সময় পার করছে সিএনএন।