NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিশ্ব শান্তি ফিরে আসবে: সি চিন পিং


ছাই উইয়ে মুক্তা,বেইজিং প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে বিশ্ব শান্তি ফিরে আসবে: সি চিন পিং

 

আন্তর্জাতিক:২০ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক ঐক্য দিবস। ‘জাতিসংঘের সহস্রাব্দ ঘোষণা’-এ (United Nations Millennium Declaration) বলা হয়েছে, ঐক্য হলো একুশ শতকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক মানগুলোর মধ্যে একটি। বিগত দুই মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন এবং ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেছেন। 

তিনি বার বার ‘ঐক্য’ শব্দটি উল্লেখ করেছেন।গত ১৫ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আয়োজিত জি-টুয়েন্টি ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং ‘একসাথে যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন। 

তিনি তাঁর বক্তৃতায় সংকট মোকাবিলায় ঐক্য ও সহযোগিতার গুরুত্ব গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ঐক্য হলো শক্তি, বিচ্ছিন্নতার ভবিষ্যৎ নেই। মানবসভ্যতা একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশ করেছে এবং শীতলযুদ্ধের মানসিকতা অনেক আগেই সেকেলে হয়ে গেছে। গরিবরা আরও দরিদ্র ও ধনী আরও ধনী হওয়ার ভিত্তিতে বিশ্বের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সি চিন পিংয়ের এসব কথা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। 

গত ১৮ নভেম্বর থাইল্যান্ডের বাংককে আয়োজিত এপেক’র ২৯তম অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং ‘দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যের ভিত্তিতে সহযোগিতা চালিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন। তিনি তাঁর বৃক্ততায় বলেন, কয়েক দশক ধরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা। পাস্পরিক সম্মান, ঐক্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করতে হবে। 

গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ‘চীন-আরব বন্ধুত্বপূর্ণ চেতনা প্রচার করে যৌথভাবে নতুন যুগের চীন-আরব অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন। তিনি তাঁর মূল ভাষণে বলেন, চীন ও আরব দেশগুলো হলো পরস্পরের কৌশলগত অংশীদার। আমাদের মৈত্রী ও বন্ধুত্বপূর্ণ চেতনা উন্নত করতে হবে। আমাদের ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং আরো ঘনিষ্ঠ চীন-আরব অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে। 

একই দিন প্রথম চীন-উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে সি চিন পিং তাঁর ‘অতীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও ভবিষ্যতের সূচনা করা এবং হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া, যৌথভাবে চীন-জিসিসি সম্পর্কের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত সৃষ্টি করা’ শীর্ষক বক্তৃতায় চারটি অংশীদারিত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হচ্ছে: একসাথে ঐক্য ত্বরান্বিত করার অংশীদার, একসাথে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অংশীদার, একসাথে নিরাপত্তা গড়ে তোলার অংশীদার এবং একসাথে সভ্যতা গড়ে তোলার অংশীদার।

সি চিন পিং তাঁর বক্তৃতায় বলেন, অংশীদারদের তাৎপর্য ও মূল্য কেবল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাল সময়ে সমৃদ্ধির মধ্যেই নয়, প্রতিকূল সময়ে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেও রয়েছে। ঐক্য হলো শক্তি, ঐক্য জয়ী হতে পারে। 

বর্তমান বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী ছড়িয়ে পড়ছে, ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তেজনাময়, ইউক্রেন সংকটের নেতিবাচক প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়ছে। এসব সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায়? চীনা নেতা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন। সূত্র: ছাই ইউয়ে,সিএমজি।