NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

তিব্বতে রান্নার পাত্রের পরিবর্তনে জনগণের জীবন পরিবর্তন


খবর   প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম

তিব্বতে রান্নার পাত্রের পরিবর্তনে জনগণের জীবন পরিবর্তন

 

আন্তর্জাতিক:২০ বছর বয়সী রিনচেন ঝুওগা প্রেসার কুকারে নুডুলস রান্না করেন এবং দশ মিনিটেরও কম সময়ে তার পরিবারের কাছে সুগন্ধি নুডলস নিয়ে আসেন।

রিনচেন ঝুওগার বাবা, ৫৬ বছর বয়সী তাশি, তিব্বতের লাসা শহরের মোঝুগংকা জেলার বাসিন্দা। তিনি জানান, ছোটবেলায় বাড়িতে ব্যবহৃত বেশির ভাগ রান্নার পাত্র ছিল মৃত্পাত্র। যার মধ্যে ছিল মৃত্পাত্রের হাঁড়ি, স্টিমার, চায়ের পাত্র, সেই সাথে কাঠ ও পাথরের তৈরি রান্নার পাত্র, যেমন মাখন চা ব্যারেল এবং পাথরের পাত্র। অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি পাত্র খুব বিরল ছিল।

ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি "পৃথিবীর তৃতীয় মেরু" হিসাবে পরিচিত। যার গড় উচ্চতা ৪০০০ মিটারের বেশি। তিব্বতে বেশি উচ্চতা, নিম্ন বায়ুচাপ এবং কম স্ফুটনাঙ্কের কারণে, আগুন যথেষ্ট হলেও জলের তাপমাত্রা বাড়ে না, তাই রান্না প্রায়শই কাঁচা বা কম রান্না হয়েছে মনে হয়। প্রেসার কুকারের উত্থান এই সমস্যার সমাধান করেছে। এমন কি, ৫০০০ মিটার উচ্চতায় ও আপনি "ভালভাবে রান্না করা সুগন্ধি" খাবার খেতে পারেন।

আপনি যদি একটি তিব্বতি রান্না ঘরে যান, দেখবেন মাটির চুলার স্থান দখল করে নিয়েছে গ্যাসের চুলা। কাঠের ঘিব্যারেলটিও একটি বৈদ্যুতিক ঘিব্যারেল হয়ে গেছে, যা আপনার আঙুলের একটি ঝাঁকুনি দিয়ে চালু করা যেতে পারে। ঘরে রান্নার পাত্র অনেক বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং সুখাবার রান্নাও অনেক সহজ হয়েছে।

যদিও মৃত্পাত্রের ব্যবহার মানুষের জীবনে ক্রমশ কমে যাচ্ছে, কিন্তু পর্যটনের বিকাশের সাথে সাথে, কিছু তিব্বতি রেস্তোরাঁ ঐতিহ্যবাহী মৃত্পাত্র রান্নার পাত্র হিসাবে ব্যবহার করে বিশেষ খাবার তৈরি করতে শুরু করে, যা পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।
২১ বছর বয়সী লুওসাংইয়েশি ২০১৮ সালে লাসা দ্বিতীয় ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতক হন। সেই বছরের মার্চ মাসে, তিনি মাঝুগংকা জেলায় একটি তিব্বতি রেস্তোরাঁ খুলতে তার সমস্ত সঞ্চয় ব্যবহার করেন। তার তিব্বতি রেস্তোরাঁয় কাঠের ক্যাবিনেটের উপর বিভিন্ন মৃত্পাত্রের রান্নার বাসন রাখা আছে। "মাটির পাত্রের স্যুপের স্বাদ আরো ভাল হয় এবং সহজে ঠান্ডা হয় না।" লুওসাংইয়েশি বলেছেন যে, তার দোকানের সমস্ত মৃত্পাত্র তাবা গ্রাম থেকে কেনা হয়েছে। তাবা লাসা শহরের মোঝুগংকা জেলার গোংকা থানার একটি ছোট গ্রাম। গ্রামবাসীরা বংশপরম্পরায় মৃত্পাত্র তৈরি করে আসছেন। জানা গেছে, মোঝুগংকা জেলা ২০০৯ সালে তাবাসিরামিক কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগ করে এবং ২০১১ সালে তাবাসিরামিক পেশাদার সমবায় প্রতিষ্ঠা করে। অনেক মৃৎশিল্প বিশেষজ্ঞ এখানে কাজ করেন এবং প্রশিক্ষণ দেন।

তিব্বত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ ইয়েশেতেনজিন বলেন, রান্নার পাত্রগুলি কেবল খাদ্য সংস্কৃতির বাহক নয়, জীবনযাত্রারও সাক্ষী। মালভূমিতে রান্নার পাত্রের পরিবর্তন তিব্বতি জনগণের জীবনের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে।লেখক: ইয়াং ওয়েই মিং, সিএমজি।