NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

বিলুপ্তির পথে যাত্রাপালা, সরকারের সহযোগিতা চান শিল্পীরা


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ০১:৪৯ এএম

বিলুপ্তির পথে যাত্রাপালা, সরকারের সহযোগিতা চান শিল্পীরা

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :


ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকা যাত্রাপালা এখন বিলুপ্তির পথে। এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ বেদনার চিত্র উঠে আসতো যাত্রাপালায়। আগে যাত্রাপালা দেখতে মানুষ আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে ভিড় করতো। আজ চিরচেনা সেই যাত্রাপালা আর চোখে পড়ে না।

আধুনিক প্রযুক্তি ইন্টারনেট ও মোবাইলের কারণে যাত্রাপালা এখন বিলুপ্তির পথে। এছাড়াও যাত্রাপালার সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু লোকজনের কারণে জুয়া আর দেহ প্রদর্শনের কারণে যাত্রাপালাতে ভাটা পড়েছে। গুটি কয়েকজনের কারণে এ সংস্কৃতি আজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে যাত্রা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশা খুঁজে নিয়েছেন। অনেকেই অর্থ ও খাবারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রা ফেডারেশনের সম্বনয়িক সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক বলেন, কুড়িগ্রামে এক সময় ১৫টি যাত্রাপালার দল ছিল। এখন যেগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম ছাড়া যাত্রা শিল্পীদের কেউ খোঁজ রাখে না। এখন আর যাত্রাপালার ডাকও আসে না। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পীরা দুঃখ কষ্টে আছেন। সরকারের উচিত পুরোনো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের পাশে দাঁড়ানো। তা না হলে আমাদের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গন থেকে যাত্রাপালা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

প্রতীক যাত্রাপালা দেখতে আসা মো. আজগার আলী বলেন, আমি ছোটবেলায় আমার পরিবারের সঙ্গে যাত্রাপালা দেখতে যেতাম। যাত্রাপালার শিল্পীদের সমাজ সচেতনমূলক পালা, গরীবের ভাষা, হাচন রাজা, কমলার বনবাস, দুঃখী বানেচা, গহর বাদশা বানেচা পরী এসব যাত্রা অনুষ্ঠান দেখতাম। এখন আর যাত্রা চোখে পড়ে না। আজ যাত্রা দেখে খুব ভালো লাগলো। মনে হয় আমি আমার কিশোর যৌবনে ফিরে গেলাম।

কুষান যাত্রাপালার শিল্পী সালমা বেগম বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে যাত্রাপালার সঙ্গে আছি। যাত্রা যেন আমার হৃদয়ের একটি স্পন্দন। এই যাত্রা পালা বন্ধ হওয়ায় আমরা শিল্পীরা অনেক কষ্টে আছি। আমরা আবার যাত্রা পালায় ফিরে যেতে চাই। সানাইয়ের সুর, কথার ঝংকার আর ঢাক তবলার প্রতিধ্বনিতে আবারো গ্রাম বাংলা মুখরিত হউক এটাই আমার এক মাত্র প্রত্যাশা।

কুড়িগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. আলমগীর কবির বলেন, সরকার দেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতি যাত্রাপালার ব্যপারে উৎসাহী। যাত্রাপালা প্রদর্শনের বিষয়ে কোনো বাঁধা নেই। শুধু যাত্রাপালা নয় শিল্প-সংস্কৃতিতে কাজ করা শিল্পমনা মানুষদের মূল্যায়নে বিভিন্ন অনুদান ও সহযোগিতা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।।