NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

দর্শনার কেরুর চিনি সংকট দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারে


মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

দর্শনার কেরুর চিনি সংকট দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারে

 

দেশের অন্যতম বড় চিনিকল দর্শনার কেরু এন্ড কো¤পানির উৎপাদিত চিনির সংকট দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাজারে। ক্রেতা সাধারণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বাস্তবেই চিনির সংকট দেখা দিয়েছে নাকি অধিক মুনাফার আশায় কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মিষ্টি চিনি এখন তেতো হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

গত ৬ অক্টবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাতের দাম ৯৫ টাকায় বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দেয়। তবে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর কেরুর চিনি বাজারে চিনি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দর্শনা বাজারের কেরুর চিনি ডিলার আবদুল খালেক বলেন, হঠাৎ চিনির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চিনি শেষ হয়ে গেছে। এটা কৃত্রিম সংকট না। এমনকি কেরুতেও চিনি নেই। কেরুতে চিনি তুলতে গেলে কর্তৃপক্ষ জানান ডিলারদের সরবরাহ করার মতো পর্যাপ্ত চিনি মজুদ নেই।

বাজারে চিনি কিনতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, বাজারে কেরুর উৎপাদিত এক কেজি চিনি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কী কারণে দাম বাড়ল তা বোধগম্য নয়। হতে পারে কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কেরু চিনিকল সুত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমে ১৩ হাজার ২৩ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে কেরুর গোডাউনে ৪৬ দশমিক ৬০ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। এটা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। মিল গেটে কেরুর খোলা চিনি কেজি ৭৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সেটা শুধু মাত্র কেরুতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য।

কেরু অ্যান্ড কো¤পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন বলেন, “বর্তমানে চিনির চাহিদা বেড়েছে। স্বল্প পরিমাণে আখ চাষ করে ওই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। আখ চাষ বাড়াতে পারলে অধিক চিনি উৎপাদন সম্ভব হবে। ” চিনির বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেরু এন্ড কো¤পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

এদিকে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে দর্শনা বাজারে অভিযান চালিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করায় কেরুর চিনি ডিলার আবদুল খালেককে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন যারা মজুদদারি বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে এবং সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও বেশি দামে বিক্রি করছে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য। আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদার বিপরীতে এক সময় দেশের সরকারি চিনিকলগুলোয় দেড় থেকে দুই লাখ টন চিনি উৎপাদন হতো। সবশেষ দু’বছরে ১৫টি সরকারী চিনিকলের মধ্যে ৬ টি চিনিকলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সরকারী পর্যায়ে চিনির উৎপাদন নেমেছে ৪৮ হাজার টন থেকে ২৫ হাজার টনে। যার ফলে চিনিখাতের প্রায় শতভাগ নিয়ন্ত্রন চলে গেছে বেসরকারি পর্যায়ে।