NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে বৈঠক

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাধারণ পরিষদ সভাপতি ও জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এর বৈঠক


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৪২ পিএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাধারণ পরিষদ সভাপতি ও জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এর বৈঠক

 

 

 

নিউইয়র্ক, ৩০সেপ্টেম্বর ২০২২:

 

জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ, তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ও ফলপ্রসু নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) সাবা কোরোসি (Csaba Kőrösi) । আজ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এর সাথে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক সভায় আলোচনা কালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এ প্রশংসা করেন তিনি।

 

সভার শুরুতে ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এর আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা-এ দুটি প্রস্তাব সাধারণ পরিষদের সভাপতির নিকট পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। এসডিজির বাস্তবায়ন, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে মর্মে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (এসএসসি) এর আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের উক্ত ফোরাম এসএসসি’র বিষয় ভিত্তিক আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে একটি চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে মর্মে মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণ পরিষদের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-এর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চপ্রবৃদ্ধি ঘটেছে মর্মে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

রোহিঙ্গা সঙ্কট বিষয়ক আলোচনাকালে রোহিঙ্গা শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষাদান,  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যে সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত যায়নি মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন। এ সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে মন্তব্য করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা অর্থাৎ এর প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য আরও তহবিলের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা শীঘ্রই বাস্তবায়নের উপর জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাধারণ পরিষদের সভাপতি বিষয়টির প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন।সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া (Jean-Pierre Lacroix) এর সাথে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পিস অপারেশনে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশভবিষ্যতেকুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স (কিউআরএফ), বেজ্‌ ডিফেন্স কন্টিনজেন্ট, পদাতিক কন্টিনজেন্ট এবং পুলিশ কন্টিনজেন্ট পদায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মর্মে জানান তিনি।এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ হতে সামরিক ও বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিশেষ করে ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের জন্যওআহ্বান জানান এবংনারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন। সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহে টেকসই শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও উত্তম অনুশীলন কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের ইন্টারন্যাশনালঅ্যাসোসিয়েশনের -এর ২৬তম বার্ষিক কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণের জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়াকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

 

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কর্তব্যপরায়নতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত দক্ষতার ভূয়সী প্রসংশা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হতে সুদানের আবেইতে পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রেরণ, মালিতে আমর্ড্‌ হেলিকপ্টার এবং কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স কন্টিনজেন্ট মোতায়েন, মধ্য আফ্রিকায় হাতপাতাল ইউনিট প্রেরণ এবং কঙ্গোতে এক্সপ্লোসিভ অর্ডিনেন্স ডিস্‌পোজাল (ইওডি) কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ভবিষ্যতে আরো অধিকনারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনসহ জাতিসংঘের সার্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে অবদান রেখে যাবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া।