আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রকাশিত: ১৬ জুন, ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
দ্বিতীয় চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে সিজিটিএন প্রকাশিত একটি বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে যে, চীন এবং পাঁচটি মধ্য এশিয়ার দেশের মধ্যে উচ্চ-স্তরের সহযোগিতা মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজের সত্যিকারের প্রতিমূর্তি, যা ক্রমবর্ধমান অস্থির আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে স্থিতিশীলতা সঞ্চার করে।
প্রথম চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন এবং পাঁচটি মধ্য এশিয়ার দেশের মধ্যে সহযোগিতা ‘দ্রুতগতির’ সময়পর্বে প্রবেশ করেছে। জরিপ অনুসারে, ৯০.৪ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন যে, চীন-মধ্য এশিয়া রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে। ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে মধ্য এশিয়াকে তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে, চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর জন্য রূপান্তর, উন্নয়ন এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রভাব অর্জনের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। ইউরেশিয়ান ভূ-রাজনৈতিক ভূদৃশ্য দ্রুত পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে, ৮৮.১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর কৌশলগত স্বাধীনতা জোরদার এবং অঞ্চলটিকে স্থিতিশীল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৩ সালে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মধ্য এশিয়ায় প্রথমবারের মত সিল্ক রোড অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের প্রস্তাব করেন। তখন থেকে, চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মূল অংশীদার হিসেবে দেখে আসছে। ৯২.৪ শতাংশ উত্তরদাতা একমত যে বিআরআই একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জনকল্যাণমূলক বিষয় যা চীন এবং মধ্য এশিয়ার মধ্যে উচ্চ-স্তরের সহযোগিতাকে সমর্থন করে। তাছাড়া, মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল এবং সর্বদা পরিবর্তনশীল। চীন এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো ‘তিন শক্তি’ মোকাবেলা এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, ৮৭.৫ শতাংশ উত্তরদাতা এটি স্বীকার করেছে। ৮২.৭ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, সন্ত্রাসবাদ দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সংগঠিত অপরাধ দমনে চীন এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর উপর শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূত্র: শুয়েই-হাশিম-আকাশ,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।