NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, জুন ১৩, ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ কোরবানীর ত্যাগের মহিমায় নিউইয়র্কে ঈদুল আজহা পালিত মুসলিম উম্মার ঐক্য, সৌহার্দ্য-সমৃদ্ধি  কামনা উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও উৎসব—ঈদ বাজারে নারীর অগ্রযাত্রার অনন্য মঞ্চ লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর গভর্নর পদে প্রথম বাংলাদেশি আসেফ বারী টুটুলের ঐতিহাসিক বিজয় ও সংবর্ধনা অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
Logo
logo

ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক ন্যায্যতা নীতিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রকাশিত:  ১৩ জুন, ২০২৫, ০৬:৪১ এএম

ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক ন্যায্যতা নীতিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে

সম্প্রতি ২০২৫ সালের শাংরি-লা ডায়লগ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায়, ফিলিপাইন এই সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে যে ‘ব্ল্যাকমেইল’ কৌশল প্রদর্শন করেছে, তা আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য দারুণ উদ্বেগজনক।

সম্মেলনে ফিলিপাইন ‘দুর্বলতার ভান করে ভিকটিম কার্ড খেলা’ এবং চীনকে কালিমালিপ্ত করার একটি বক্তব্য দিয়েছে। প্রথমত, তারা ‘ছোট দেশই ন্যায়ের প্রতীক’ এমন একটি বয়ান তৈরি করে বড় দেশগুলোর ওপর নৈতিক চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে, যেন চীনের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনকে ছাড় দেওয়া একটি ‘স্বাভাবিক দায়িত্ব’। এভাবে তারা আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক নিয়মকানুনের ন্যায্যতা নীতিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।


দ্বিতীয়ত, তারা সত্য ও মিথ্যাকে উল্টে দিয়ে একটি মেরুকরণ তৈরি করেছে। ফিলিপাইনের অবৈধ দাবিকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ এবং চীনের বৈধ স্বার্থ রক্ষাকে ‘অন্যায়’ হিসেবে চিত্রিত করে আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।

স্পষ্টতই, ফিলিপাইনের এই ‘ব্ল্যাকমেইল’ কৌশল মূলত ভুল ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করে চীনের বৈধ অধিকার রক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা। কিন্তু সত্য কখনও লুকানো যায় না। দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুটি কোনো দেশ বড় না ছোট, তার ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটি ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্ন।

গভীরভাবে দেখলে, ফিলিপাইনের এই কৌশল আসলে তাদের কূটনৈতিক মহলের ‘অসৎ মনস্তত্ত্ব’ প্রতিফলিত করে। এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ফিলিপাইনকে চীন-বিরোধী ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহারের ইচ্ছা, যারা দেশটিকে কূটনৈতিক, আইনি, সামরিক ও গণমাধ্যম সমর্থন দিচ্ছে।

শাংরি-লা ডায়ালগে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীন-বিরোধী কৌশলের ‘অগ্রসৈনিক’ হতে চায়, যা আসলে ফিলিপাইনের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন হারানোরই প্রমাণ। মার্কিন-জাপান-অস্ট্রেলিয়া-ফিলিপাইন চতুষ্পাক্ষিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি থেকে এটি স্পষ্ট ফিলিপাইনের এই ‘ব্ল্যাকমেইল’ কৌশল পশ্চিমা শক্তিগুলোর সমর্থন ও মদদ পাচ্ছে, যা আসলে মার্কিন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’-এরই অংশ।
বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে অন্যায় সুবিধা আদায়ের জন্য ফিলিপাইনের এই কৌশল পতঙ্গের আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার মতো। যা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। 

সূত্র: স্বর্ণা-তৌহিদ-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।