NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল ২৭০০, এখনও ভবনের নিচে অনেকে


আকবর হায়দার কিরণ   প্রকাশিত:  ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল ২৭০০, এখনও ভবনের নিচে অনেকে

 মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিকম্পে দেশটিতে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এলাকায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা।  মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং বলেছেন, ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কার করা হচ্ছে।  তিনি আর বলেন, ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ আছেন আরও ৪৪১ জন।সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  এর আগে, গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে শোকের ঘোষণা এসেছে।  এদিকে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।  বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।  প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।