NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প


আকবর হায়দার কিরণ   প্রকাশিত:  ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৪ পিএম

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

 শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প  সংগৃহীত ছবি  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) বন্ধে করে দেওয়ার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।    শুক্রবার (২১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।  এসময় ট্রাম্প বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এটি বন্ধ করতে যাচ্ছি আমরা। এটি কোনো কাজেই আসছে না।  গত বছরের নির্বাচনী প্রচারে তিনি এই মন্ত্রণালয়টি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

 ট্রাম্প অনেকদিন ধরেই এই মন্ত্রণালয়ে কাঁচি চালাতে চাইছিলেন। অনেক রক্ষণশীলও ‘মন্ত্রণালয়টির বাড়াবাড়ি’ বন্ধ করার পক্ষে। তবে এটি বিলুপ্ত বা পুরোপুরি বন্ধে কংগ্রেসের যে প্রয়োজনীয় সমর্থন লাগবে তা ট্রাম্প পাবেন না বলেই মনে হচ্ছে।  রিপাবলিকান প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনেকে এরই মধ্যে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন; তারা মন্ত্রণালয়টি বন্ধ ও গত সপ্তাহে ঘোষিত কর্মী ছাঁটাই ঠেকাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।  ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত শিক্ষায় বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি খরচ করেছে, এরপরও সফলতা বিবেচনায় দেশের শিক্ষার্থীরা তালিকার তলানির দিকে আছে।  তার প্রশাসন আইনি সীমানার ভেতরেই মন্ত্রণালয়টির যত বেশি সংখ্যক অংশ বন্ধ করে দেবে, বলেছে হোয়াইট হাউজ।  ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশও আইনি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে, যেমনটা সরকারি কর্মীবহরের আকার ছোট করে আনতে তার নেওয়া অধিকাংশ পদক্ষেপকেই পড়তে হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রতিষ্ঠানটির শেষ মন্ত্রী হিসেবে তার নামই থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। লিন্ডাকে পরে প্রশাসনের অন্য কোনো দায়িত্বে রাখবেন বলেও জানান তিনি।  

ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর লুইজিয়ানার রিপাবলিকান সেনেটর বিল কাসিদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধের লক্ষ্যে সেনেটে বিল আনার ঘোষণা দিয়েছেন।  কংগ্রেসের এই উচ্চকক্ষে রিপাবলিকানরা ৫৩-৪৭ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ফেডারেল মন্ত্রণালয় বিলুপ্তে তাদের অন্তত ৬০ ভোট দরকার, যা পাওয়া আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধও না করা যায় ট্রাম্প প্রশাসন এর অর্থায়ন ও কর্মীসংখ্যা অনেক কমিয়ে ফেলতে পারে, যেমনটা তারা বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পৌঁছে দেওয়া প্রধান সংস্থা ইউএসএআইডিতে করেছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মন্ত্রণালয়টি নিয়ে কী করা হবে, কোন কোন কর্মসূচিতে কাঁচি চালানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু নেই। কেবল মন্ত্রণালয়টি ‘বন্ধে সহযোগিতা করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে’ ও এর কিছু কিছু ক্ষমতা রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর হাতে প্রত্যর্পণে ব্যবস্থা নিতে ম্যাকমোহনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের ঋণ দিতো এবং স্বল্প-আয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নানান কর্মসূচি চালাতো। এই মন্ত্রণালয় তরুণদের মাথায় বর্ণবাদী, যৌন ও রাজনৈতিক নানান বিষয়াদি ঢুকিয়ে দেয় বলে ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছিলেন।