NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জব্বারের বলীখেলায় আবারও চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ Bangladesh reaffirms commitment to fully Implement the CHT Peace Accord Kashmir Violence Conflict can be Solved Diplomatically or Needs a Retaliation Plan Against Pakistan ব্রেন স্ট্রোক পরবর্তী সময়ে সেরে ওঠার যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত  বিনিময় নিজেকে রাজা-বাদশাহ ভাবছেন ট্রাম্প! ‘দাগি’ দেখতে কয়েদির বেশে সিনেমা হলে শতাধিক নিশো ভক্ত Attorney General James Wins Case Against Google for Monopolies in Digital Advertising নিউইয়র্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংবাদ সম্মেলন নানা অভিযোগ উত্থাপন : বাংলাদেশ রেমিট্যান্স মেলা  বয়কটের আহবান নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ায় পুলিশের গুলিতে মানসিকভাবে অসুস্থ  এক ব্যক্তির মৃত্যু
Logo
logo

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আর নেই


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:১৫ এএম

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আর নেই

 শান্তিতে নোবেল জয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।  স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্লেইনস-এ নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার। খবর রয়টার্সের।  জিমি কার্টার চার সন্তান ও ১১ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান। জিমি কার্টার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট। গত অক্টোবর মাসে তিনি ১০০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন।  এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন; শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন এমন সবার কাছেই।  জিমি কার্টার ডেমোক্র্যাট দল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।  জনপ্রিয়তা হারিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের সুনাম ফিরে পান জিমি কার্টার। এই কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০২ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

 কার্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার একটি ছোট্ট শহর প্লেইন্সে। তিনি সেখানে ১ অক্টোবর, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে কার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।  জিমি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  ১৯৭৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার্টার জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন জিমি।  তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির রাজনীতিবিদরা।