খবর প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:২২ এএম
ব্রাজিলিয়া, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪: যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯:৩০ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ সাদিয়া ফয়জুননেসা। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় দূতাবাসের কনফারেন্স কক্ষে সন্ধ্যে ৭:০০ ঘটিকায়। আলোচনার শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই -আগস্ট এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই -আগস্ট অভ্যুত্থানের উপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ' 'আধার পেরিয়ে' প্রদর্শন করা হয়। 1 মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতার শুরুতে '৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং '২৪ এর জুলাই -আগস্ট অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় দূতাবাস প্রবাসীদের কল্যাণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরেন এবং প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে অবধারিতভাবে দেশ ও জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসীদের কাংখিত সেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনস্যুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যানমূলক সকল প্রকার সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। অনুষ্ঠানে ব্রাজিলে বসবাসরত বাংলাদেশিগণ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে সকলের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।