NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তিন সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার " ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত
Logo
logo

তৃতীয় দিনের মতো বগুড়ায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ জুন, ২০২৫, ০২:১৯ এএম

তৃতীয় দিনের মতো বগুড়ায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

এম আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া থেকে :

 

 

সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এই অবস্থায় টানা তিনদিন ধরেই বগুড়ায় সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। 

শহরের সার্কিট হাউজ মোড়, জলেশ্বরীতলা, ইয়াকুবিয়ার মোড়, রোমেনা আফাজ সড়ক, শহীদ আব্দুল জব্বার সড়ক, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড় ও বড়গোলাসহ সাতমাথা-জিরোপয়েন্ট সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। 

রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও রিকশা-অটোরিকশাগুলো নির্দিষ্ট স্থান থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও চালকদের বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন। 

বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী তাহসিন রহমান রাতুল বলেন, যতদিন না ট্রাফিক পুলিশ আসে আমরা রাস্তায় থাকবো। সিগন্যালের পাশাপাশি গাড়িগুলো যেন লাইন ধরে চলে সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের কষ্ট হচ্ছে, ভালো লাগছে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে। অভিজ্ঞতাও হচ্ছে। শিক্ষার্থী মিথিলা আক্তার বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অনেকে ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে জানেন না। তাদের এই বিষয়ে অবগতও করা হচ্ছে। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য আল-আমিন বলেন, আমরা আনন্দ সহকারে কাজ করছি। রেড ক্রিসেন্ট থেকে আগেও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগছে। মানুষ কিছুটা বিরক্তবোধ করছে। কিন্তু আমরা চাই সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা আসুক। মানুষ কিছুটা শিখে গেলে পরে এই ধারা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীদের এই ভূমিকায় খুশি পথচারী ও চালকরা। তারা জানান, পুলিশ নেই কিন্ত সড়কে বিশৃঙ্খলা নেই। শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। খুব বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে না। 

 

শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে রিকশাচালক মনির হোসেন বলেন, এরা পুলিশের থেকেও কড়া। পুলিশকে কিছু বললে শুনতো, কিন্তু এরা কিছু শোনে না। যা নিয়ম তাই করতে বলে। তবে ট্রাফিক পুলিশের থেকে শিক্ষার্থীরাই ভালো কাজ করছে। ইয়াকুবিয়া মোড়ে মোটরসাইকেল চালক মাহিন জানান, শিক্ষার্থীরা নিয়ম করেই সিগন্যাল দিচ্ছেন। কোনো ভোগান্তি নেই, এককথায় তারা ভালো কাজ করছে।