NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

বগুড়ায় বৈশাখী মেলায় ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

বগুড়ায় বৈশাখী মেলায় ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই

এম আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া থেকে  ঃ বগুড়ায় সাতদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার চতুর্থ দিনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেবাহী মোরগ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়া থিয়েটারের উদ্যোগে শহরের পৌর পার্ক চত্বরে এ খেলা উপভোগ করেন কয়েকশ দর্শনার্থী। বিলুপ্তপ্রায় এ সংস্কৃতির আয়োজন দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ খেলাকে নতুন করে তুলে ধরতে লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, পাতা আনা, সাপ-বেজির খেলা, হা-ডু-ডুর আয়োজন করা হয়। ৪৩ বছর ধরে বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে এ মেলায় ঐতিহ্যবাহী এসব খেলাধুলাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এবারে লড়াইয়ে বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকার আছিল ক্লাব ঘরের কালা মানিক, লাল মানিক, রকি ও সম্রাট নামের চারটি মোরগ অংশ নেয়। এ ক্লাবটিতে ভারতীয় জাতের ৩০টি লড়াকু মোরগ রয়েছে।লড়াকু এই মোরগগুলো দেড় মাস বয়স থেকে শুরু করে ৪ বছর পর্যন্ত লড়াইয়ে অংশ নিতে পারে। ছয়মাস বয়সে ডাক শুরুর বয়স থেকে নিজেরাই প্রাকৃতিকভাবে লড়াই করতে শেখে। তবে প্রতিযোগিতার একমাস আগে থেকে তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷

আছিল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল ইসলাম বলেন, একজন কুস্তিগিরের মতোই লড়াকু এসব মোরগের যত্ন নিতে হয়। খাবার হিসেবে কাজু বাদাম, কিসমিচ, সেদ্ধ ডিম, ফলের রস, সিং মাছ ও গরুর মাংস খাওয়ানো হয়। এ মোরগগুলোর দাম জাত ও শারিরীক অবস্থাভেদে আট হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে।তিনি আরও বলেন, মোরগগুলো পোষা। আমার যেমন পেশা তেমনি শখও বটে৷ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে ধরে রাখার পাশাপাশি মানুষকে আনন্দ দিতে বেশ ভালো লাগে।

দশম শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী তাসমি হাসান মোরগ লড়াই দেখেছে বেশ মনোযোগ সহকারে। সে বলে, বৈশাখী মেলায় পুরোনো দিনের নানা খেলাধুলার আয়োজন থাকে, তা দেখতে বেশ মজা লাগে।বগুড়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না জানান, বৈশাখী মেলায় নতুন প্রজন্মের সামনে বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি উদ্ধার ও লালনে যেন মনোযোগী হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহনকারী এসব খেলা হারিয়ে ফেলতে বসেছি আমরা। মূলত এ ভাবনা থেকেই গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন। এটি প্রতি বছরই হয়ে থাকে।