NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তিন সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার " ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত
Logo
logo

চীন-যুক্তরাষ্ট্রকে স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই পথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে: প্রেসিডেন্ট সি


রুবি: প্রকাশিত:  ১৭ জুন, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

চীন-যুক্তরাষ্ট্রকে স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই পথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে: প্রেসিডেন্ট সি

 


চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দু’নেতা চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং উভয়পক্ষের অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে অকপট ও গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন। 


ফোনালাপে সি চিন পিং বলেন, গত নভেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সান ফ্রান্সিসকোতে দেখা করেছেন এবং ভবিষ্যতমুখী ‘সান ফ্রান্সিসকো ভিশন’ উন্মোচন করেছেন। গত কয়েক মাসে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের অর্জিত ঐকমত্য বাস্তবায়ন করে আসছে। ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়েছে, যাকে উভয় দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে দুই দেশের সম্পর্কের নেতিবাচক উপাদনও বেড়েছে, যেগুলোর দিকে উভয় পক্ষের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, কৌশলগত জ্ঞানের ইস্যুটি সর্বদা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘প্রথম বোতাম’, যাকে শক্ত করা উচিত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, একে অপরকে সম্মান ও শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা এবং জয়-জয় ফলাফলের জন্য সহযোগিতা চালানো। । দু’দেশকে একটি স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই পথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দু’দেশের পিছনে ফিরে যাওয়া উচিত নয়।

সি চিন পিং বলেন, এ বছর চীন-মার্কিন সম্পর্ককে অবশ্যই কয়েকটি প্রধান নীতি মেনে চলতে হবে। প্রথমটি হলো, শান্তিকে মূল্য দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করা, ঝামেলা না করা, সীমা অতিক্রম না করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তৃতীয়টি হলো, বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, কর্মের সাথে তাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা এবং ‘সান ফ্রান্সিসকোর দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘প্রকৃত বাস্তবতায়’ পরিণত করা।
তাইওয়ান ইস্যুটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রথম অনতিক্রম্য লালরেখা বলে উল্লেখ করেন সি চিন পিং।  ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’কে সমর্থন না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইতিবাচক বিবৃতি বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

জবাবে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সান ফ্রান্সিসকো বৈঠকের পর থেকে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অগ্রগতি দেখায় যে, উভয় পক্ষই দায়িত্বশীলতার সাথে মতপার্থক্য মোকাবিলার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে চলছে। তিনি পুনর্ব্যক্ত  করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘নতুন শীতল যুদ্ধে জড়াতে চায় না, চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে জোট শক্তিশালী করতে চায় না, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ সমর্থন করে না এবং সংঘাতের কোনো ইচ্ছা নেই ওয়াশিংটনের। 
দুই প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সংকট এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।