NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
" ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন উত্তেজনা চরমে বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী, ডেমোক্র্যাটদের ক্ষোভ
Logo
logo

'স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য চারুশিল্পীদের স্মরণে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠান


মশিউর আনন্দ প্রকাশিত:  ১৫ জুন, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

'স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক বাংলাদেশের বরেণ্য চারুশিল্পীদের স্মরণে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ৩০, ৩১ মে, ২০২৩ মঙ্গলবার ও বুধবার জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‌‍‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ' শিরোনামে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশের প্রয়াত বিশিষ্ট ৪ জন চারুশিল্পীর স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবেই ৩০ মে, ২০২৩ দুই কিংবদন্তি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে  শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর শিল্পকর্ম ও কর্মজীবনের উপর লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন শিল্পসমালোচক মোস্তফা জামান মিঠু। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিল্পসমালোচক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, স্মৃতিচারণ করেন শিল্পাচার্যের পুত্র স্থপতি মইনুল আবেদিন ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব হাসনা জাহান খানম, অতিরিক্ত সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সৈয়দা মাহবুবা করিম, পরিচালক, চারুকলা বিভাগ। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর শিল্পকর্ম ও কর্মজীবনের উপর লিখিত প্রবন্ধ পাঠে  মোস্তফা জামান মিঠু বলেন- “‍জয়নুল তার নিজস্ব উপায়ে বাস্তববাদ আয়ত্ব করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে জয়নুল আবেদিন যখন শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছিলেন সেসবের মধ্যে বাস্তব উপায়ে সত্য তুলে ধরবার দিকটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একটি নতুন ধরনের ধারা তিনি প্রচলন করেছিলেন। জয়নুল বাস্তববাদী যে চিন্তাধারা লালন করেছিলেন ছিয়াত্ত্বরের মনন্বত্ত্বর তা প্রতিবাদের নতুন ধারার জন্ম দেয়।‌‍“

দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে পটুয়া কামরুল হাসান এর শিল্প ও কর্মজীবনের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন জনাব মফিদুল হক। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। স্মৃতিচারণ করেন পটুয়া কামরুল হাসান এর কন্যা সুমনা হাসান ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব হাসনা জাহান খানম। ২য় পর্বে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

 প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনায় বক্তারা বলেন- ‘মৌলবাদী, ধর্মান্ধ নানা গোষ্ঠির বাধা অতিক্রম করে ও আক্রমণ মোকাবেলা করে পটুয়া কামরুল হাসান শিল্পের কাজ করেছেন। আজও সমাজে ঘটছে তাদের নব উত্থান, ধর্মের অপব্যাখ্যা দ্বারা সমাজে ও শিল্পের পথযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে পুরোনো শত্রুদের থাবা প্রসারিত হচ্ছে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নানাভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাদের আক্রমণ, এমন সময়ে পটুয়া কামরুল হাসানের জীবন সত্তা ও শিল্প সত্তার পাঠ গ্রহণ আমাদের জন্য এখনও বিশেষ জরুরি।‍‌‌‌‍‌‌‌‍‘ স্মৃতিচারণে পটুয়া কামরুল হাসান এর কন্যা সুমনা হাসান বলেন-

‘পরিবারকে বঞ্চিত করে আমার বাবা যেমন দেশ, সমাজের উন্নতি করেছেন, যে সময়গুলো তারা ভালো কাজে ব্যয় করেছেন, সেটার সম্মানে তাদের কাজগুলো আগামী প্রজন্মকে জানাতে তেমন উদ্যোগ নেয়া হয় নি; শিল্পী তনয়া আক্ষেপ করে বলেন – পটুয়া কামরুল হাসানের কার্যক্রমের অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতায় অনেক কিছু লিখে গেছেন, স্কেচ করে গেছেন যেগুলো আজও অনেকে জানে না এবং সেগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয় নি।‘ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী বলেন, মাত্র ৫৩৮ টি পেইন্টিং থেকে আমরা আর্ট গ্যালারিতে চার হাজার টেইন্টিং সংগ্রহ করেছি। আমাদের ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা অন্যান্যদের সহযোগিতা নিয়ে- শিল্পীরা যারা আছেন তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই, পাবলিকেশন বের করতে চাই।

আমরা যখন এশিয়ার ইতিহাসও দেখি তখন এই গুণী মানুষদের আমরা খুঁজে পাই না। সেকারণেই এই এশিয়ান অঞ্চলের গুণী মানুষদের নিয়ে আমরা একটা পাবলিকেশন করতে চাই যেটাতে এশিয়ার বরেণ্য মানুষরাও থাকবেন তার পাশাপাশি আমাদের শিল্পীরা যারা আছেন তারাও থাকবেন। ইংরেজিতে পাবলিকেশন বের করে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে পারি। প্রয়োজনে যারা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাবলিশার আছেন তাদের শরণাপন্ন হয়ে এটা করতে পারি।‘ তিনি আরো বলেন- আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে জয়নুল-আবেদিন নজরুল ইসলাম যেটা একদিন আলোচনার বিষয় নয়।পটুয়া কামরুল হাসানের কার্যক্রম ও চিত্রকর্মের পরের কাজগুলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পাবলিকেশন আকারে প্রকাশ করবে বলেও ঘোষণা দেন মহাপরিচালক।