খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৫৫ এএম
এম আব্দুর রাজ্জাক : চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত লেখিকা " মমতাজ সবুর সাহিত্য সম্মাননা ও পুরস্কার ২০২৩" প্রদান অনুষ্ঠানে একুশে পদক প্রাপ্ত দেশ বরেণ্য কবি কামাল চৌধুরী বলেছেন, কবিতা হচ্ছে এক ধরনের অন্মেষন আর কবির কাজ হচ্ছে অন্মেষাকে জাগিয়ে রাখা। কবিদের বিচরণ করতে হয় পাঠকের হৃদয়ে। বুঝতে হয় তাদের অনুভূতি। তিনি আরও বলেন,সমাজ বিনির্মানে কবিতার অনেক ভূমিকা আছে। কবিতা কে কখনও কখনো ও বিবেকের কন্ঠস্বর হয়ে আর্বিভূত হতে হয়। কবি এই সমাজেরই অংশ।গত ২০ মে শনিবার ২০২৩ ইং বিকেল ৫ :৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্টিত বাংলা কবিতার অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতি স্বরপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কবি কে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। ৭৫ এর পনের আগষ্ট পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কে নিয়ে কবিতা রচনা সাহসি ভূমিকা ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় পর্যায়ে উদযাপনে তার আন্তরিক ভূমিকা কে ও অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরন করা হয়।
চট্টগ্রাম একাডেমির চেয়ারম্যান ড.অনুপম সেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক গবেষক ড.মাহবুবুল হক। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজামান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, কবি ও নাট্য বাক্তিত্ব শিশির দক্ত, জাতীয় গ্রন্হ কেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার আলী, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম।শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন মহানগর দায়রা জর্জ ড.জেবুন নেসা ও মহানগর দায়রা জর্জ আজিজ আহমেদ ভুইয়া।স্বাগত বক্তব্যে রাখেন, চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্টাতা কবিও শিশু সাহিত্য রাশেদ রউফ। উক্ত অনুষ্ঠানে সন্চলনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিম ।অনুষ্ঠানে কবি কামাল চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, কংকন দাশ বৃন্দ আবৃত্তি করেন ওঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাচিক শিল্পীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক গবেষক ড. মাহবুবুল হক বলেন, মমতাজ সবুর ছিলেন একজন নিভূতচারী সাহিত্যক। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তিনি সাহিত্য চর্চা করে গেছেন। কবি ও নাট্য ব্যাক্তি শিশির দক্ত বলেন, কামাল চৌধুরী বাংলা সাহিত্যর একজন ঈর্ষনীয় কবি। তার চেতনা বোধ পাঠক কে উজ্জীবিত করেছে। জাতীয় গ্রন্হ কেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মুনসুর বলেন, ৭৫ পরবর্তী যখন অন্ধকার সময় নেমে এসেছিল সেই অন্ধকার সময়ে কবিতার মাধ্যমে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন কবি কামাল চৌধুরী।আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম বলেন, নিভৃতচারী লেখক ছিলেন মমতাজ সবুর। তার রচিত সাহিত্য নারী, সমাজের জন্য বার্তা রয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, কামাল চৌধুরী একজন বড় মাপের কবি। তার মত একজন গুনি মানুষকে মমতাজ সবুর সাহিত্য পুরস্কার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
স্বাগত বক্তব্যে কবি রাশেদ রউফ বলেন, ৫০ দশকের একজন প্রতিভাবান সাহিত্যক মমতাজ সবুর। ওনি চট্টগ্রাম সাহিত্যকের নামে চট্টগ্রাম একাডেমি সাহিত্য সম্মানা ও পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন।গত বছর এ পুরস্কার পান বরেণ্য কথা সাহিত্যক সেলিনা হোসেন। এবার পেলেন কবি কামাল চৌধুরী। যিনি কবিতায় অনন্য কন্ঠস্বর হিসেবে সমাদৃত। চট্টগ্রাম একাডেমির চেয়ারম্যান ড. অনুপম সেন বলেন, কবিতার মাধ্যমে সমাজকে জাগিয়ে রাখতে হবে। যে কোন সংকটে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বাঙ্গালী জাতি কে দ্রোহে- বিদ্রোহে, আন্দোলনে কবিতা কে প্রেরণা দিয়েছে।