NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তিন সংসদ নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার " ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থাপনা আইন ভঙ্গ করেছে এবং শীর্ষ ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে” ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি হলে শাকিব খানের ‘তান্ডব’র শুভ মুক্তি Iran Attack, a Foggy Peace and Truce Deal in Gaza - Dr Pamelia Riviere ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত লায়ন শাহ নেওয়াজ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল ভারতীয় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বিয়ানীবাজারবাসীদের উদ্যোগে সাংবাদিক ও লেখক মুস্তাফিজ  শফি সংবর্ধিত
Logo
logo

জিআই পণ্য হচ্ছে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাচা গোল্লা


এম আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত:  ১৭ জুন, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

জিআই পণ্য হচ্ছে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি  কাচা গোল্লা

এম আব্দুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে :

নাটোরে ঐতিহ্য বাহী মিষ্টি কাচাগোল্লা জিআই পণ্য হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাচাগোল্লা নিবন্ধনের জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ এফিডেভিটের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির হাতে জি আই পণ্য হিসেবে কাাঁচাগোল্লা তালিকা ভুক্তির জন্য এফিডেভিটের কপি হস্তান্তর করেন । জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ জানান , যেহেতু কাচা গোল্লার সাথে নাটোরের আবেগ জড়িত । একারণে আমার বিদায়ের পূর্বে আমি কাজটি শুর করেছি। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে কাচা গোল্রা অন্তুরভুক্ত হবে।কারণ আদি কাচা গোল্লার  প্রকৃতি পরিবর্তন কওে বিভিন্ন স্থানে কাচা গোল্লা বিক্রি হচ্ছে। এই তালিকা ভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ হবে।জানা যায়, নাটোরের মহারানী ভবানী মিষ্টি অনেক পছন্দ করতেন। তার রাজপ্রাসাদে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন লালবাজারের মিষ্টি বিক্রেতা মধুসুধন পাল। একদিন মধুসুদন পালের ২০ জন কর্মচারীর সবাই অসুস্থ হয়ে গেলো। দোকানে ২ মণ ছানা রাখা ছিল। ছানাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মধুসূদন ছানার উপর চিনির সিরা দিয়ে ভিজিয়ে দেন। এরপর এগুলো চেখে দেখেন এর স্বাদ হয়েছে অপূর্ব। এদিকে রানী ভবানীর লোকেরা মিষ্টি নিতে আসলে তিনি সিরা দেয়া ছানাগুলো পাঠিয়ে দেন। রানী ভবানী এই মিষ্টি খেয়ে অনেক প্রশংসা করেন এবং এর নাম জানতে চান। মধুসূদন পাল তখন কাঁচা ছানা থেকে তৈরি বলে এর নাম দেন কাঁচা গোল্লা।এটিই ছিল কাঁচা গোল্লার ইতিহাস। এই গল্প নাটোরের সবার মুখে মুখে ফিরে। নাম গোল্লা হলেও এটি দেখতে গোল নয়। ছানা, চিনি ও এলাচ দিয়ে এই কাচা গোল্লা তৈরি করা হয়।এই কাঁচা গোল্লার সাথে জড়িয়ে রয়েছে নাটোর বাসীর আবেগ ।আজ থেকে ২৫০ বছর আগে কাঁচা গোল্লা আবিষ্কৃত হয়ে আজো তার সুনাম বজায় রেখেছে। নাটোরের বিয়ে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অতিথি আপ্যায়নে এই কাঁচা গোল্লা সরবরাহ করা হয়।