NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ও সিনেট মেম্বারের সাথে বিভিন্ন  দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা ভারত পাকিস্তান উত্তেজনায় কী বলছেন বিশ্বনেতারা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, দিল্লি বিমানবন্দরের ১৪০টি ফ্লাইট বাতিল বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে “Passport DC’s Embassy Tour -2025” অনুষ্ঠিত Pakistan and India war 2025: “Operation Sindoor” ৩৪ তম নিউ ইর্য়ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা শুরু ২৩শে মে ২/১দিনের মধ্যেই পাচ্ছে চিঠি বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন শাহ  নেওয়াজ! Congratulations to Mark Joseph Carney on Winning the 2025 Election Canada Bangladesh Permanent Representative Highlights Social Business as a Tool for Mobilizing Private Investment for Sustainable Development জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন
Logo
logo

রিজার্ভ চুরির সাত বছর: অর্থ ফেরত নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ মে, ২০২৫, ০৭:৪৭ এএম

রিজার্ভ চুরির সাত বছর: অর্থ ফেরত নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না

অর্থ ফেরত নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সাত বছর পার হলো শনিবার। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া এই অর্থের মধ্যে ফেরত আনা গেছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাকি ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার (টাকার অঙ্কে ৫৬০ কোটি টাকা) ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সেই অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে কি না বা পাওয়া গেলেও কত দিনে আসবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।   দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের মধ্যে ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার নিয়ে ফিলিপাইনের আদালতে কমপক্ষে ১২টি মামলা চলমান। এর মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ জব্দও করে রেখেছে দেশটির আদালত। চলমান এসব মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে এবং এসব মামলার গতি বাড়াতে সম্প্রতি ফিলিপাইনে গেছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল।  

 এদিকে বাংলাদেশের চুরি হওয়া অর্থ ফেরত পাঠাতে ফিলিপাইন সমঝোতায় বসবে না বলে জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এখন বাংলাদেশকে অর্থ ফেরত পেতে নির্ভর করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়ের ওপর।  আন্তর্জাতিক হ্যাকার চক্র ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ এক হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার চুরি করে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো ২ কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। বাকি ৮ কোটির বেশি ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়, যা এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ। ঐ অর্থ উদ্ধারে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটান সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ। মামলায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক, ডলার পেসোতে রূপান্তর করতে ব্যবহার করা ক্যাসিনোর মালিক কিম অংসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়। তবে মামলার পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে ম্যানহাটন সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জানিয়ে দেয়, মামলাটি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এরপর বাংলাদেশ ২০২০ সালের ২৭ মে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট কোর্টে মামলা করে।   আদালত সমঝোতার নির্দেশ দিলে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল গত ২৮ জানুয়ারি ফিলিপাইনে পৌঁছায়। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস, আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, বিএফআইইউর ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের দুই জন করে কর্মকর্তা। প্রতিনিধিদল ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস ও বার্নাস ল অফিসের সঙ্গে বৈঠক করেছে। শুক্রবার এই তিন পক্ষের সঙ্গে একটি সমন্বয়সভা হয় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দেশটির মাকাতি, মান্ডলুয়ং ও প্যারানাক শহরের তিনটি আঞ্চলিক বিচারিক আদালতের শুনানিতে অংশ নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চালানোর জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করছে আইনি প্রতিষ্ঠান কোজেন ও’কনর।  বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ছাড়াও ফিলিপাইনের মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের সম্পত্তি ক্রোকের এক মামলায় সাক্ষ্য দেন। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আবেদনের বিষয়েও শুনানি হয়।  এদিকে রিজার্ভ চুরির অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সালিশ মীমাংসা করার জন্য। এটা সেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন যেহেতু মামলার গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই বাংলাদেশ মধ্যস্থতায় যাবে। দেখা হবে, সমঝোতার মাধ্যমে টাকা ফেরত পাওয়া যায় কি না। তা না হলে মামলা চলবে। এতে সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু আমাদের যে সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে, তাতে আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী।  সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আদালত একটি রায় দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে আরসিবিসির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। ব্যাংকটির নিউ ইয়র্কের হিসাব ও আরসিবিসির ফিলিপাইনের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে ফেড থেকে ঐ অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।  এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেন, ‘রায় যেহেতু আমাদের পক্ষে এসেছে, তাই আমরা অর্থ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’