কাজাখস্তান সময় ১৭ জুন মঙ্গলবার সকালে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আস্তানায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভের সাথে বৈঠক করেছেন।
সি চিন পিং বলেন, গত বছর তাঁরা বেইজিং ও আস্তানায় দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন এবং তখন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দুই দেশের বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা সার্বিকভাবে একটি সুষ্ঠু অবস্থায় রয়েছে। চীন উজবেকিস্তানের সাথে উন্নয়ন কৌশল সমন্বয় করতে এবং দেশ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, একযোগে আরও বেশি পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে এবং নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে দুই দেশের অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠাকে আরও এগিয়ে নিতে চীন আগ্রহী।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, উভয় পক্ষের উচিত আরও মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আকার বাড়ানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নতুন জ্বালানি ও স্মার্ট কৃষিসহ নতুন উদীয়মান খাতে বাস্তব সহযোগিতা উন্নত করা। এ ছাড়া, দারিদ্র্যমোচন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা, একযোগে তিনটি শক্তি (বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ) দমন করা, একযোগে নতুন হুমকি মোকাবিলা করা। পাশাপাশি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।
দু’নেতা বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও মত বিনিময় করেছেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জানান, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বেড়েছে, এতে চীন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চীন অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘনের যেকোনো কার্যক্রমের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, সামরিক সংঘাত সমস্যা সমাধানের সঠিক পথ নয় এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির অবনতি আন্তর্জাতিক সমাজের অভিন্ন স্বার্থের পরিপন্থী। সব পক্ষের উচিত উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করা এবং সংঘাত বৃদ্ধি এড়ানো। চীন বিভিন্ন পক্ষের সাথে একযোগে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক।
সূত্র: আকাশ-তৌহিদ-ফেইফেই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।