চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরামর্শ বিষয়ক চীনের নেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হ্য লি ফেং এবং মার্কিন নেতা, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ৯ ও ১০ জুন লন্ডনে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরামর্শ ব্যবস্থার প্রথম বৈঠক করেছেন। দু’পক্ষ খোলামেলা ও গভীর আলোচনা করেছেন, নিজ নিজ উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে গভীর মতবিনিময় করেছেন, ৫ জুন দু’দেশের নেতাদের ফোনালাপের মতৈক্য ও জেনেভায় বৈঠকের মতৈক্য নিয়ে কাঠামোগত ঐক্যমত্য অর্জন করেছে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধানে নতুন অগ্রগতি অর্জন করেছে।
হ্য লি ফেং বলেন, এবারের বৈঠক দু’দেশের নেতাদের ৫ মে পৌঁছানো কৌশলগত ঐকমত্যের নির্দেশনায় পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরামর্শ। চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিষয়ে চীনের মনোভাব ও অবস্থান স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের মূল হল পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয়। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করলে উভয়ই লাভবান হবে, বিরোধে জড়ালে উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না। দু’পক্ষের উচিত সমান সংলাপ ও পারস্পরিক কল্যণামূলক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পার্থক্য সমাধান করা। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরামর্শে চীন আন্তরিক ও নীতি অনুসারী।
পরবর্তী ধাপে দু’পক্ষের উচিত দু’দেশের নেতার ফোনালাপে পৌঁছানো মতৈক্য ও দাবি অনুসারে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরামর্শ ব্যবস্থার ভূমিকা পালন করা, ঐকমত্য বৃদ্ধি করা, ভুল বোঝাবুঝি হ্রাস করা এবং সহযোগিতা জোরদার করা।
চীন পুনর্ব্যক্ত করে যে, উভয় পক্ষের উচিত তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা, আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে কষ্টার্জিত ফলাফল রক্ষা করা, যোগাযোগ ও সংলাপ বজায় রাখা, একসঙ্গে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন উৎসাহিত করা, বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও বেশি নিশ্চিয়তা ও স্থিতিশীলতা সঞ্চার করা।
মার্কিন পক্ষ জানায়, এবারের বৈঠক ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল করেছে। তারা দু’দেশের নেতাদের মতৈক্য অনুসারে চীনের সঙ্গে এবারের বৈঠকের ঐকমত্য বাস্তবায়ন করবে।
সূত্র: তুহিনা-হাশিম-স্বর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।